![]() কলেজ বিধি:
১. সর্বশক্তিমান আল্লাহর নাম স্মরণ করে কাজ আরম্ভ করবে।
২. কলেজে নিয়মিত ক্লাস আরম্ভ হওয়ার ১৫ মিনিট পূর্বে উপস্থিত হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে আসবে না। প্রতিদিনের পড়া শিখে আসতে হবে এবং বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করে আসতে হবে। কলেজে ক্লাস শুরু হওয়া থেকে ছুটি পর্যন্ত প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীকে অবশ্যই কলেজে অবস্থান করতে হবে। কলেজে আসার পর গুরুতর অসুস্থতা ছাড়া কোনো ক্রমেই ছুটি দেয়া হবে না। তবে বিশেষ কোনো কারণে ছুটি প্রয়োজন হলে বৈধ অভিভাবক/অভিভাবিকার লিখিত আবেদনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নিতে হবে।
৩. কোনো শিক্ষার্থী কোনো কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে দরখাস্তসহ অভিভাবককে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ জানাতে হবে অথবা অসুস্থ হলে দরখাস্তসহ মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে অথবা দরখাস্তসহ প্রতিদিনের জন্য ৫০/- টাকা করে জরিমানা দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে। অন্যথায় উক্ত শিক্ষার্থী ক্লাসে প্রবেশ করতে পারবে না। পূর্বে অবহিত বা অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো শিক্ষার্থী ১ মাস অনুপস্থিত থাকলে তাকে বিনা নোটিশে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হবে।
৪. কলেজে নির্ধারিত পোশাক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে বা পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। পোশাক অবশ্যই পরিচ্ছন্ন হতে হবে এবং জুতা পলিশ করা থাকবে। অবশ্যই পরিচ্ছন্ন হতে হবে এবং জুতা পলিশ করা থাকবে।
৫. মনে রাখতে হবে যে, এসএসসি থেকে এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনেক বড় বিধায় ৮ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত নিয়মিত লেখাপড়া করা অত্যন্ত জরুরী।
৬. কলেজে এসে সরাসরি ক্লাসরুমে প্রবেশ করতে হবে। প্রত্যেক পিরিয়ড শেষে, প্রয়োজনে শ্রেণিকক্ষ পরিবর্তনের সময় শৃঙ্খলার সাথে কক্ষ পরিবর্তন করবে। যাদের ক্লাস থাকবে না তারা ঐ সময় শিক্ষার্থী মিলনায়তনে অথবা পাঠাগারে অবস্থান করবে। কোনো অবস্থাতেই করিডোর বা বারান্দায় ঘোরাফেরা করবে না। ছুটির পর হৈ-হুল্লোর না করে ধীরস্থিরভাবে কলেজ অঙ্গন ত্যাগ করবে।
৭. সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। ছাত্রদের মাথার চুল ও নখ ছোট রাখতে হবে। ছাত্রীদের নখ বড় রাখা, নেইল পলিশ ব্যবহার করা, চুল কাটা কিংবা চুল কালার করা নিষেধ। ছাত্রীদের রিং ছাড়া সকল প্রকার অলংকার ব্যবহার, চকচকে ঘড়ি, মাথায় ক্লিপ ব্যবহার ও খোলা চুলে কলেজে আসা সম্পূর্ণ নিষেধ। ছাত্রদের হাতে বা কানে অলংকাররূপী কিছু পরা নিষেধ।
৮. শিক্ষার্থীরা তাদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে বিষয়শিক্ষক, গাইড টিচার, শ্রেণিশিক্ষকের সাহায্য ও পরামর্শ নেবে। প্রয়োজনে অধ্যক্ষ ও পরিচালক স্যারদের পরামর্শ নেবে। ক্লাসে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে, অমনোযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তি দেয়া হবে।
৯. সহপাঠীদের প্রতি কোনোরূপ অশোভন উক্তি করা বা কোনো জিনিস ছুঁড়া যাবে না। শিক্ষক/শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ বা সিনিয়র ছাত্র/ছাত্রীদের যথাযথ সম্মান করবে এবং সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখবে। শিক্ষক/শিক্ষিকার আদেশ ও প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম মেনে চলবে।
১০. শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ, ডেস্ক, চেয়ার, টেবিল, ব্ল্যাকবোর্ড, দেয়াল ও টয়লেটে কোনোকিছু লেখা নিষেধ। কোনো ছাত্র/ছাত্রী অপর ছাত্র/ছাত্রীর বই, খাতা, ব্যাগ ইত্যাদিতে বিনা অনুমতিতে হাত দেবে না। ক্লাসরুম পরিষ্কার রাখা সবার দায়িত্ব। বই, খাতা, পেন্সিল ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে।
১১. ছাত্র-ছাত্রীদের সব বিষয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে চলতে হবে। কলেজ অঙ্গণে কোনরূপ বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে কলেজ প্রশাসনকে জানাতে হবে। নিজে কখনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজ করবে না এবং অন্যকে তা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবে।
১২. মোবাইল ফোন ও কোনো রকম মূল্যবান দ্রব্যাদি সাথে করে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা নিষেধ। ভুলক্রমেও যদি কারো কাছে কখনো মোবাইল পাওয়া যায় বিনা অজুহাতে তাকে ১০০০/- টাকা জরিমানা দিতে হবে। অন্যথায় দ্রব্যটি কলেজ কর্তৃপক্ষের জিম্বায় চলে যাবে এবং তা কোর্স শেষে ফেরত দেয়া হবে।
১৩. এই কলেজকে আমার কলেজ মনে করতে হবে, যা তুমি সারা জীবন লালন করবে। সুতরাং তোমার দ্বারা যাতে কলেজের কোনো সম্পদ নষ্ট না হয়, এমনকি শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় নিজ দায়িত্বে লাইট ও ফ্যানের স্যুইচ বন্ধ করবে, দরজা-জানালা বন্ধ করবে, ছোট একখ- চকও নষ্ট করবে না।
১৪. বাড়ি থেকে যার যার টিফিন নিয়ে আসবে। বাড়ি থেকে টিফিন আনতে অপারগ হলে কলেজ কেন্টিন থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে ক্রয় করে খাবে। টিফিন না খেলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৫. টয়লেট ব্যবহার করে উত্তমরূপে পানি ঢালবে। বেসিনে হাতমুখ ধৌত করার পর বেসিন পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে টেপ বন্ধ করতে হবে।
১৬. ক্লাসে কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে যদি উত্তর দিতে ব্যর্থ হয় এবং নিশ্চিত হয় যে, সে পাঠ শিখে আসেনি তবে শিক্ষক চাইলে শাস্তিস্বরূপ ডিটেনশন ক্লাস অথবা সম্পূর্ণ পিরিয়ড দাঁড় করিয়ে রাখতে পারবে। যদি শিক্ষার্থী এইভাবে ২/৩ দিন পড়া না শিখে তবে তাকে পরিচালক স্যার বা অধ্যক্ষের নিকট পাঠানো এবং প্রয়োজনে তার অভিভাবককে অবগত করা হবে।
১৭. প্রতি মাসে অন্তত ১টি শ্রেণিপরীক্ষাসহ সেমিস্টার পদ্ধতিতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রেণিপরীক্ষাসহ উক্ত পরীক্ষাসমূহের মান হবে যথাক্রমে ১০, ৩০ ও ১০০ (গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ৭৫)।
১৮. শ্রেণিপরীক্ষার উত্তরপত্র অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে। অভিভাবক মাসিক পরীক্ষার প্রত্যেক বিষয়ের উত্তরপত্র অবশ্যই দেখবেন, স্বাক্ষর করবেন এবং শিক্ষার্থীর পাঠোন্নতি সম্পর্কে অবগত হবেন।
১৯. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি মোট কার্যকালের ৯০%-এর কম হলে এবং একাদশ শ্রেণির সাংবাৎসরিক ফলাফলে কমপক্ষে ৩৬% নম্বর না পেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং ঐ শিক্ষার্থীকে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস করতে হবে। পরপর ২ বার সাংবাৎসরিক ফলাফলে অনুত্তীর্ণ হলে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হবে এবং ঐ শিক্ষার্থীর জন্য কোনো সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।
২০. বেতনের তারিখ চলতি মাসের ৫, ১০ ও ১৫ তারিখ (ছাত্রী) ৬, ১১ ও ১৬ তারিখ (ছাত্র)। ১ম মাসের বেতন পরিশোধে বিলম্বের জন্য ১০ টাকা, ২য় মাসে ৫০ টাকা এবং ৩য় মাসে ১০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। একাধিকক্রমে ৪ মাসের বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হলে হাজিরা খাতা থেকে নাম কাটা যাবে। পুনরায় নাম তুলতে হলে ১ মাসের সমান ফি অতিরিক্ত প্রদান করতে হবে।
২১. প্রতিষ্ঠানের ভিতরে নিয়ম-শৃঙ্খলা যেমন মেনে চলতে হয়, প্রতিষ্ঠানের বাইরেও চাল-চলনে প্রতিষ্ঠানের আদর্শ উত্তমরূপে অনুসরণ করতে হবে।
২২. পরীক্ষা কক্ষে অসদুপায় অবলম্বন করলে, আচার-আচরণে ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে এবং আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় করা হবে।
২৩. নিজ ঘরে অবস্থানকালে বাবা-মায়ের অনুগত হয়ে চলতে হবে এবং ছোট ভাই-বোনদেরকে স্নেহ দিয়ে বন্ধুর মত আচরণ করবে। এছাড়া ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
২৪. ছাত্র-ছাত্রী সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি জানার জন্য অভিভাবককে শ্রেণিশিক্ষক/গাইড টিচার/পরিচালক/অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
|